জেলা পরিষদ ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারে একটি মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার কথা দিয়েছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহাম্মদ চৌধুরী। এই প্রতিশ্রুতির এক বছর পার হলেও কোন খবরই নেই। একই সাথে কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সওয়ার কমলও একই কথা দিয়েছিলেন। এই কথার কোন বাস্তবায়ন হয়নি। নিরাপদ সড়ক ও দুর্ঘটনা রোধে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চালকের তৈরির স্বার্থে সরকারীবে একটি মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা এতদাঅঞ্চলের মানুষের সময়ের দাবী। এটি দাবীটি দিনের পর দিন, আরো অধিক জোরালো হয়ে ওঠছে।
জানাযায়, শহরের নুরুল আমিন নামে এক সচেতন বাসিন্দা কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক ববরারে গত বছর ১৭জুন একটি লিখিত আবেদন দায়ের কররেন। সেই আবেদনে প্রশাসক নিজেই গ্রহণ করেছিলেন। মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার করারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ঘোষণাটি এখনও মুখের কথাই থেকে গেল। এছাড়া আরো বেশ কয়েক জন সচেতন নাগরিক একইভাবে জেলা পরিষদ প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিল এই প্রতিষ্ঠানটি করার জন্য। আবেদনকারী মধ্যে জাসিম উদ্দিন নামে একজন জানান,এটি প্রতিষ্ঠা করতে তেমন বড় কোন বাজেটের দরকার নেই। সদিইচ্ছার অভাব একটু সু-দৃষ্টি দিলেই এই প্রতিষ্ঠান করতে পারেন তিনি। একই ভাবে গত বছর ১০ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের বিশেষ সাধারণ সভায় কয়েক শতাধিক মানুষের সামনে কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কামল কক্সবাজারে একটি মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই ঘোষণার অনেক দিন পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কথা দিয়ে কথা রাখেনি সাংসদ সাইমুম সওয়ার কমল ও সাবেক সাংসদ ও কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহম্মদ চৌধুরী।
কক্সবাজার জেলা পরিবহণ শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলম শামীম জানান,কক্সবাজারে অনেক আগেই মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার করা দরকার ছিল। ইতিমধ্যে আমাদের প্রচেষ্টায় একজন মোটর ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর জেলায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেলে একটি মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার করা তেমন কঠিন ব্যপার নয়। অপর দিকে কক্সবাজার বি,আর,টি,এ কার্যলয়ের মোটরযান পরিদর্শক নাছিম হায়দার বলেন কক্সবাজারে মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠিত হলে জেলায় দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক তৈরি হবে এবং সড়ক দূর্ঘটনা হ্রাস পাবে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানাগেছে শহরের বেসরকারী ভাবে বাবা ভান্ডারী, আজমীর, আল আমিন নামে তিনটি
মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার ছিল। নানা কারণে এই গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। তবে শহরের বাহারছড়া এলাকায় গণস্বাস্থ্য মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাদের মোটর ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর ও সরকারী কোন অনুমোদন নেই।
দূর্ঘটনা রোধে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ চালক তৈরিতে কক্সবাজারে সরকরী পৃষ্ঠপোশকতায় মোটর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠার অতীব প্রয়োজন বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।
#############
নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক :::
কক্সবাজার সদর উপজেলা খুরুশকুল পালপাড়া এলাকায় নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের করুণ মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে। হতভাগা এই কিশোর একই এলাকার সাধন পালের পুত্র রনি পাল বলে জানাগেছে। পারিবারিক সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার নারিকেল পারার জন্য রনি পাল গাছে ওঠে, পা পিছলিয়ে মাঠিতে পাড়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থ থেকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসালে ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।
পাঠকের মতামত: